তেরখাদা উপজেলাতে ঋতু পরিবর্তনের ফলে ঠান্ডাজনিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। অন্যদিকে শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছেন ঠান্ডাজনিত নানা রোগে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। আবহাওয়ার পরিবর্তন ও ঠান্ডার প্রভাবে শিশু ও বৃদ্ধরা সর্দি-কাশি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে আসছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। ৫০ শয্যা বিশিষ্ট তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় অনেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন হাসপাতালের বারান্দায়।
চিকিৎসা নিতে আসা কাটেংগা এলাকার মাসুদ শেখ বলেন, ‘২ দিন ধরে আমার ৩ বছরের শিশুকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছি। কিন্তু রোগির বাড়তি চাপ হওয়া এবং চিকিৎসক সংকটের কারনে তেমন ভালো চিকিৎসা পেলাম না’।
উপজেলার রামমাঝি থেকে চিকিৎসা নিতে আসা মনিরা বেগম বলেন, ঋতু পরিবর্তনের কারনে তার বাচ্চার শ্বাসকষ্ট ও জ্বর দেখা দিয়েছে। হাসপাতালে এসেছি চিকিৎসা নিতে।
তেরখাদা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক নার্স জানান, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারনে প্রতিদিন এখানে শিশু এবং বৃদ্ধসহ সকল বয়সী রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। বেডের অভাবে তাদের হাসপাতালে রাখা যাচ্ছে না। কেউ কেউ বারান্দায় থেকে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন।
তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার আরএমও ডা. অনিক কুন্ডু খুলনা গেজেটকে বলেন, ‘ঋতু পরিবর্তনের প্রকোপে হাসপাতালে রোগীর সংখ্যাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে ডায়রিয়া ও শিশু ওয়ার্ডে বেডের বিপরীতে দ্বিগুণেরও বেশি রোগী ভর্তি আছে। চিকিৎসক সংকট সত্ত্বেও আমরা সাধ্যমতো চিকিৎসাসেবা চালিয়ে যাচ্ছি।’ প্রতিদিন বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন ২৫০ থেকে ৩০০ রোগী। গত কয়েক দিনে আবহাওয়া পরিবর্তনের কারনে মানুষের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের অসুস্থ্যতা বেড়ে গেছে। বিভিন্ন ধরনের রোগি আসছে চিকিৎসা নিতে। এদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা বেশি।
খুলনা গেজেট/এএজে